ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে ১৫ কিমি নীরব পদযাত্রা করলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ফরিদ খান।
এ সময় তার সঙ্গে যোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল মোমিন।
মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) সকাল ১০টায় রাবির শহীদ জোহা চত্বরের সামনে থেকে পদযাত্রাটি শুরু করেন তারা। রাজশাহী কলেজ, নিউ ডিগ্রি কলেজ, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ, রুয়েট হয়ে আবার জোহা চত্বরে এসে পদযাত্রা শেষ করেন। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সামনে ১০ মিনিট করে থামেন তারা।
“ওয়ান টু থ্রি ফোর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্লোজ নো মোর”, “শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিন; শিক্ষাকে বাঁচান, শিক্ষার্থীদের বাঁচান” ইত্যাদি স্লোগানসংবলিত প্ল্যাকার্ড হাতে তারা পদযাত্রা করেন।
এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবির পক্ষে বেশ কিছু যুক্তি তুলে ধরেন। যুক্তিগুলোর মধ্যে কয়েকটি এ রকম-
১. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা যে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে তা অপূরণীয়। ইন্টারনেট আসক্তি ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। অনেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে।
২. শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক বৈষম্য তৈরি হচ্ছে। যারা বেসরকারি স্কুল বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে তারা সরকারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। শহরের শিক্ষার্থীরা গ্রামের শিক্ষার্থীদের চেয়ে কিছুটা হলেও এগিয়ে যাচ্ছে।
৩. আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে তাগিদ দিয়েছে।
৪. ইউনিসেফের হিসেবে মধ্য জুলাই ২০২১ নাগাদ বিশ্বের ১১টি দেশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে। যার মধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে আছে উগান্ডা, জাম্বিয়া, কম্বোডিয়া, ভেনিজুয়েলা, সুরিনামসহ কয়েকটি দেশ। জনসংখ্যার হিসেবে প্রতি দশ লাখ জনসংখ্যায় কোভিড-১৯ শনাক্তে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৪ তম আর মৃত্যুতে ১৩৭তম। ২২২টি দেশের মধ্যে জনসংখ্যার অনুপাতে করোনাভাইরাসের শনাক্তের হার এবং মৃত্যুর বিবেচনায় এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ অনেক ভালো অবস্থানে আছে। এর চেয়ে অনেক বেশি মাত্রার সংক্রমণের হার নিয়েও শিক্ষার গুরুত্ব বিবেচনা করে অন্যান্য দেশগুলি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়েছে।
এ রকম আরও কয়েকটি যুক্তি উপস্থাপন করে দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।